আপনি কি নতুন ওয়াশিং মেশিন কেনার কথা ভাবছেন? তাহলে ভিশন ওয়াশিং মেশিনের দাম এবং বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বাংলাদেশে প্রতিদিনের জীবনে ওয়াশিং মেশিনের চাহিদা বাড়ছে। আর ভিশন ব্র্যান্ড সেই চাহিদা মেটাতে বেশ জনপ্রিয়। আজ আমি আপনাকে ভিশন ওয়াশিং মেশিনের দাম, মডেল, সুবিধা এবং কেনার সময় কী কী বিষয় খেয়াল রাখতে হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।
ভিশন ওয়াশিং মেশিনের দাম এবং মডেলসমূহ
ভিশন ওয়াশিং মেশিনের দাম বাংলাদেশে বিভিন্ন মডেল এবং ক্যাপাসিটির ওপর নির্ভর করে। নিচের টেবিলে জনপ্রিয় কিছু ভিশন মডেলের দাম এবং ক্যাপাসিটি দেখানো হলো:
মডেল নাম | দাম (টাকা) | ক্যাপাসিটি | টাইপ |
---|---|---|---|
Vision XPB68 | ১৩,৯৯০ | 6.8 কেজি | টুইন টব |
Vision Twin Tub E08 | ১২,৮০০ | 7 কেজি | টুইন টব |
Vision ST-08 | ২৭,৯৯০ | 8 কেজি | টপ লোডিং |
Vision FLT80 | ৪২,৯০০ | 8 কেজি | ফ্রন্ট লোডিং |
Vision FLT90 | ৪৫,৪৯০ | 9 কেজি | ফ্রন্ট লোডিং |
Vision TL-10P | ৩৪,৯০০ | 10 কেজি | টপ লোডিং |
দামগুলো বাজারের অফার এবং সময়ের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
ভিশন ওয়াশিং মেশিনের প্রধান সুবিধাসমূহ
- বিভিন্ন ধরনের মডেল: ভিশন ওয়াশিং মেশিন পাওয়া যায় টপ লোডার, ফ্রন্ট লোডার এবং টুইন টব মডেলে, যা আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী বেছে নিতে পারবেন।
- জল এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়: ভিশনের মডেলগুলো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে যা ৩০% পর্যন্ত বেশি পানি সাশ্রয় করে এবং বিদ্যুৎ খরচ কমায়।
- নয়েজ লেভেল: বেশিরভাগ ভিশন মেশিনের শব্দ মাত্রা ৬০ ডেসিবেলের নিচে, যা ঘরের পরিবেশকে শান্ত রাখে7।
- গ্যারান্টি ও ওয়ারেন্টি: ভিশন ওয়াশিং মেশিনে সাধারণত ১ থেকে ১০ বছরের ওয়ারেন্টি পাওয়া যায়, যা বিশ্বাসযোগ্যতার দিক থেকে বড় প্লাস পয়েন্ট।
- সহজ ব্যবহার: ভিশন মেশিনগুলো ব্যবহার করা খুবই সহজ, তাই যেকোনো বয়সের মানুষ সহজেই পরিচালনা করতে পারেন।
ভিশন ওয়াশিং মেশিন কেনার সময় যা খেয়াল করবেন
- ক্যাপাসিটি: পরিবারের সদস্য সংখ্যা অনুযায়ী সঠিক ক্যাপাসিটি নির্বাচন করুন। ছোট পরিবারের জন্য ৬-৮ কেজি এবং বড় পরিবারের জন্য ৯-১০ কেজি মডেল ভালো।
- টাইপ নির্বাচন: টপ লোডার বেশি দ্রুত কাপড় ধোয়ার জন্য ভালো, আর ফ্রন্ট লোডার বেশি পানি সাশ্রয়ী এবং কাপড় ভালোভাবে পরিষ্কার করে।
- বাজেট: আপনার বাজেট অনুযায়ী মডেল বেছে নিন, কারণ ভিশনের দাম ১২,৮০০ থেকে শুরু হয়ে ৫০,০০০ টাকারও বেশি হতে পারে।
- ওয়ারেন্টি ও সার্ভিস: গ্যারান্টি এবং সার্ভিস সুবিধা ভালো আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন7।
- অতিরিক্ত ফিচার: যেমন অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ফিল্টার, ব্লু-রে স্টেরিলাইজেশন, এ+++ এনার্জি রেটিং ইত্যাদি ফিচার থাকলে তা বড় সুবিধা।
FAQs
১. ভিশন ওয়াশিং মেশিনের গ্যারান্টি কতদিন?
সাধারণত ১ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত ওয়ারেন্টি পাওয়া যায়, যা মডেলের ওপর নির্ভর করে।
২. কোন ধরনের ওয়াশিং মেশিন বেশি ভালো, টপ লোডার না ফ্রন্ট লোডার?
টপ লোডার দ্রুত কাপড় ধোয়ার জন্য ভালো, আর ফ্রন্ট লোডার পানি এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।
৩. ভিশন ওয়াশিং মেশিনের দাম কত থেকে শুরু?
সবচেয়ে কম দামের মডেল ১২,৮০০ টাকা থেকে শুরু, যা টুইন টব টাইপ।
৪. ওয়াশিং মেশিন কেনার সময় কী কী বিষয় খেয়াল রাখা উচিত?
ক্যাপাসিটি, টাইপ, বাজেট, ওয়ারেন্টি এবং অতিরিক্ত ফিচারগুলো খেয়াল করতে হবে।
উপসংহার
আপনি যদি বাংলাদেশে একটি নির্ভরযোগ্য, সাশ্রয়ী এবং আধুনিক ওয়াশিং মেশিন খুঁজছেন, তাহলে ভিশন ওয়াশিং মেশিন হতে পারে আপনার সেরা সঙ্গী। বিভিন্ন মডেল এবং দাম থাকার কারণে আপনি আপনার প্রয়োজন ও বাজেট অনুযায়ী সঠিক পছন্দ করতে পারবেন। এখনই আপনার জন্য উপযুক্ত ভিশন ওয়াশিং মেশিন বেছে নিন এবং কাপড় ধোয়ার ঝামেলা থেকে মুক্তি পান।
আপনি কি ভিশন ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করেছেন? আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন নিচে কমেন্টে!
I am student. I completed my graduation under DU. I have experience on content writing. I love to read daily newspaper. I collect and post data from various website.