ইনফ্রারেড কুকার দাম কত ২০২৫

গ্যাসের চিন্তা আর নয়, রান্না হবে ঝটপট ও নিরাপদে!

গ্যাসের লাইনে চাপ কম? সিলিন্ডারের দাম বাড়ছে? রান্নায় দেরি হয়ে যাচ্ছে? এসব সমস্যার সহজ এবং আধুনিক সমাধান হতে পারে ইনফ্রারেড কুকার বা কারেন্ট চুলা। বাংলাদেশে এখন Casper, Miyako, এবং Niyama -এর মতো অনেক ভালো ব্র্যান্ডের ইনফ্রারেড কুকার পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো যেমন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, তেমনি সব ধরনের হাঁড়ি-পাতিল ব্যবহার করার সুবিধাও রয়েছে।

আসুন, এই স্মার্ট কুকারগুলো সম্পর্কে সহজ ভাষায় জেনে নেওয়া যাক।

ইনফ্রারেড কুকার কী?

ইনফ্রারেড কুকার হলো এক ধরনের বৈদ্যুতিক চুলা, যা বিদ্যুতের সাহায্যে তাপ তৈরি করে রান্না করে। এটি সরাসরি হাঁড়ি-পাতিল গরম করে, তাই রান্না দ্রুত হয় এবং গ্যাসের মতো দুর্ঘটনার ভয় থাকে না।

ইনফ্রারেড কুকার কেন ব্যবহার করবেন?

  • গ্যাসের সেরা বিকল্প: গ্যাস ফুরিয়ে যাওয়ার চিন্তা নেই। কারেন্ট থাকলেই রান্না চলবে।
  • খরচ কম: সাধারণ হিটারের চেয়ে অনেক কম বিদ্যুৎ খরচ হয়।
  • সব ধরনের পাত্র ব্যবহারযোগ্য: লোহা, স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম, কাঁচ, এমনকি মাটির পাত্রেও রান্না করা যায় (তবে প্লাস্টিক বাদে)।
  • নিরাপদ: আগুনে পোড়া বা গ্যাস লিক হওয়ার ভয় নেই। অনেক মডেলে পানি পড়লে বা অতিরিক্ত গরম হলে নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা আছে।
  • অনেক ভারি পাত্র রাখা যায়: Casper-এর মতো ব্র্যান্ডের চুলা প্রায় ১৪০ কেজি পর্যন্ত ওজন নিতে পারে।
  • তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ: প্রয়োজন মতো আঁচ কমানো বা বাড়ানো যায়।

বাংলাদেশের সেরা কয়েকটি ইনফ্রারেড কুকার

বাংলাদেশে Casper, Miyako, এবং Niyama ব্র্যান্ডের ইনফ্রারেড কুকারগুলো বেশ জনপ্রিয়।

  • Casper: যারা শক্তিশালী ও টেকসই চুলা চান, তাদের জন্য Casper সেরা। এটি ৩৫০০ ওয়াট পর্যন্ত ক্ষমতাসম্পন্ন এবং যেকোনো ধরনের ভারি হাঁড়ি-পাতিল অনায়াসে ব্যবহার করা যায়।
  • Miyako: বাজেটের মধ্যে ভালো মানের কুকার চাইলে Miyako দেখতে পারেন। মালয়েশিয়ার প্রযুক্তিতে তৈরি এই ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মডেল ৩,৫০০ থেকে ৬,২০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।
  • Niyama: জাপানি প্রযুক্তিতে তৈরি এই কুকারটি টেকসই এবং এতে রয়েছে ২ বছরের কয়েল ও ৫ বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টি।

বাংলাদেশে সেরা ইনফ্রারেড কুকার হিসেবে Casper, Miyako, এবং Niyama ব্র্যান্ডগুলো বিশেষভাবে জনপ্রিয়।

  • Casper চুলা ৩৫০০ ওয়াট পর্যন্ত ক্ষমতাসম্পন্ন, যেকোনো ধরণের হাঁড়ি-পাতিল ব্যবহারযোগ্য এবং ১৪০ কেজি পর্যন্ত ওজন সহ্য করতে পারে।
  • Miyako ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মডেল (যেমন ATC-ED3, ATC-102YK) ২০০০–৪২৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায় এবং মালয়েশিয়ান প্রযুক্তিতে তৈরি।
  • Niyama NIC-866 মডেলটি জাপানি প্রযুক্তি এবং এতে ২ বছরের কয়েল ও ৫ বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টি রয়েছে।

এই কুকারগুলো নিরাপদ, জ্বালানি সাশ্রয়ী ও গ্যাস সংকটের কার্যকর সমাধান হিসেবে বিবেচিত।

আরও দেখুন:কিয়াম কারি কুকার দাম ২০২৫

বাংলাদেশে সেরা ইনফ্রারেড কুকার: Casper, Miyako, Niyama

বাংলাদেশে সেরা ইনফ্রারেড কুকার হিসেবে Casper, Miyako, এবং Niyama ব্র্যান্ডগুলো বিশেষভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এগুলো বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, বহুমাত্রিক পাত্রে রান্নার উপযোগী এবং গ্যাস সংকটের চমৎকার বিকল্প হিসেবে কাজ করছে।

🔹 Casper

  • সর্বোচ্চ ৩৫০০ ওয়াট পর্যন্ত পাওয়ার
  • যেকোনো ধরনের হাঁড়ি-পাতিল ব্যবহারযোগ্য
  • ১৪০ কেজি পর্যন্ত ভার বহনে সক্ষম
  • এক বছরের ফুল ওয়ারেন্টি (গ্লাস ফ্রিও রিপ্লেসেবল)

🔹 Miyako

  • জনপ্রিয় মডেল: ATC-ED3, ATC-102YK, Inverter, TC-30A, ATC-22K2
  • দামের সীমা: ৩,৫০০–৬,২০০ টাকা
  • মালয়েশিয়ান প্রযুক্তি
  • ব্যবহার উপযোগী এবং বাজেট ফ্রেন্ডলি

🔹 Niyama NIC-866

  • জাপানি প্রযুক্তিতে নির্মিত
  • ইনভার্টারসহ ডুয়েল ফাংশন
  • ২ বছরের কয়েল ও ৫ বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টি
  • দাম: ৪,৩০০ টাকা

➡️ এই কুকারগুলো রান্নায় নিরাপত্তা, জ্বালানি সাশ্রয় ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহার নিশ্চিতে অনন্য।

📊 জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ও মডেলের তুলনা

🏷️ ব্র্যান্ড🆔 মডেল💰 দাম (টাকা)
Casper৩৬০০ টাকা।
MiyakoATC-ED3 / ED1 / ED2 / BJ-K55৩,৫০০ টাকা।
MiyakoATC-102YK৪,২৫০ টাকা।
MiyakoInverter৪,১০০ টাকা।
MiyakoTC-30A (ইন্ডাকশন)৪,৭০০ টাকা।
MiyakoATC-22K2 (ডিপ ফ্রাই)৬,২০০ টাকা।
NiyamaNIC-866৪,৩০০ টাকা।
Disnie ItalyDIND-MARBLE-79৪,২০০ টাকা।
Disnie Italyডাবল বার্নার৮,৫০০ টাকা।
GaziSCF101 PLUS৩,৮০০ টাকা।
RedSwissRSIC 005৪,৫০০ টাকা।

কোন কুকার আপনার জন্য সেরা?

  • শক্তিশালী ও ভারি রান্নার জন্য: Casper ব্র্যান্ডটি বেছে নিতে পারেন।
  • সাশ্রয়ী মূল্যে ভালো মানের জন্য: Miyako -এর মডেলগুলো দেখতে পারেন।
  • দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহার ও ওয়ারেন্টির জন্য: Niyama NIC-866 একটি চমৎকার পছন্দ।
  • আধুনিক ডিজাইনের জন্য: Disnie Italy ব্র্যান্ডের ডাবল বার্নার কুকারগুলো দেখতে পারেন, যা রান্নাঘরের কেবিনেটের সাথে সুন্দরভাবে বসে যায়।

ইনফ্রারেড কুকার ব্যবহারের কিছু জরুরি টিপস

  • চুলার গরম কাঁচের ওপর ঠান্ডা পানি দেবেন না, এতে কাঁচ ফেটে যেতে পারে।
  • রান্না শেষ হলে সুইচ বন্ধ করে দিন এবং চুলা ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত স্পর্শ করবেন না।
  • চুলাটি সমান জায়গায় বসান, যাতে হাঁড়ি-পাতিল নড়াচড়া না করে।

সাধারণ কিছু প্রশ্নোত্তর (FAQ)

  • ইনফ্রারেড কুকারে কি সব ধরনের পাত্র ব্যবহার করা যায়?
    হ্যাঁ, প্লাস্টিক ছাড়া প্রায় সব ধরনের (যেমন – স্টিল, লোহা, তামা, অ্যালুমিনিয়াম, কাঁচ ও মাটি) পাত্র ব্যবহার করা যায়।
  • বিদ্যুৎ খরচ কেমন হয়?
    এটি আপনার রান্না ও তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে। সাধারণত কম থেকে মাঝারি আঁচে রান্না করলে বিদ্যুৎ খরচ অনেক কম হয়।
  • এই চুলা কি নিরাপদ?
    হ্যাঁ, এতে আগুন বা গ্যাস লিকেজের ভয় নেই। অনেক মডেলে বাচ্চাদের জন্য সেফটি লকও থাকে।

শেষ কথা

গ্যাস সংকটের এই সময়ে ইনফ্রারেড কুকার একটি অত্যন্ত কার্যকরী সমাধান। এটি আপনার রান্নাকে করবে সহজ, দ্রুত এবং নিরাপদ। আপনার বাজেট ও প্রয়োজন অনুযায়ী আজই বেছে নিতে পারেন একটি ভালো মানের ইনফ্রারেড কুকার।

🏷️ রিলেটেড ট্যাগস:

#ইনফ্রারেড_কুকার #বৈদ্যুতিক_চুলা #Casper #Miyako #Niyama #GasCrisisBangladesh #ElectricStoveBD #KitchenTechBD

Leave a Comment